মেয়েদের একটা খুব বাজে স্বভাব আছে। অল্পতেই স্বপ্ন দেখা চালু করে এবং সেই স্বপ্ন গুলো যা তাড়াতাড়ি এবং যা detail দিয়ে বানানো হয় , তা Inception ফিল্ম -টির থেকে কোনো অংশে কম না । কিন্তু যত সময় যায় , দেখতে পাচ্ছি এই শক্তি টার ততই ক্ষয় হয়। এখন তো আর teenager নাই , বয়স বাড়ছে দিন কে দিন , এখন হটাত কাউকে দেখলে চটকরে গত্রান্তরিত হতে আর ইচ্ছা করে না।মনে পরে যায় ক্লাস টেন এর সেই বাচ্চা-টার কথা , বাচ্চা -ই বললাম । আজকের তুলনায় অনেক বেশী পার্থক্য আছে -- পার্থক্য গুলো যদিও খালি ছবি তে এবং বাবার দীর্ঘশাস এই দেখি। এই কাহিনী -টি হাস্য-কৌতুক হিসেব-এই নেওয়া উচিত। জড়িত ব্যাক্তি-দের ও এখন মনে পড়লে হাসি পায় , তো দর্শক দের হাসতে ক্ষতি কি।
আমাদের স্কুল টা ছিল co -ed । এবং আমি বড় হবার পর, সেটি হয়ে গেল আমার জননীর সব চেয়ে বড় মাথা ব্যাথা। বাড়ি তে এত ছেলে ফোন করে কেন? কি জালাতন। মেয়ে টা কোথায় মন দিয়ে পড়বে , তা না সারাদিন bsnl এর ব্যাবসা বাড়াচ্ছে ! এমন ও না, যে ফোন খুব বেশি মধুর বাত্রালাপ হত। ফার্স্ট crush জীবনের, খুব ই awkward বাপার সাপার। কারুর ই বলার বিশেষ কিছু ছিল না , কোন টিচার কাকে বকলো,কোন ছেলে কোন ভয়ানক অংকের টিচার এর কাছে মার খেল , আমি থার্ড পিরিয়ড এ ওই অন্য ছেলে টার সাথে কি নিয়ে হাসা হাসি করছিলাম। ( অন্য ছেলেটির ফ্রি তে character assassination included ), ও ফোর্থ পিরিয়ড এ ওই অন্য section এর মেয়ে-টার সাথে কি নিয়ে কথা বলছিল ( again ফ্রি তে লম্বা excuse included ), কোন টিউশন এ কটার সময় ...এই সব ভেরি trite জিনিস। তাও মা চার বছর ধরে বুঝতে পারলেন না , এরম ফালতু কথা কেউ কি করে দুপুর এ দুই ঘন্টা ফোন-এ ,বিকেল-এ দুই ঘন্টা orkut -এ and বাকি সারাদিন স্কুল এ থেকেও বলেও শেষ করতে পারে না।
যাই হোক , এরম ই এক ফোন সেশন এ , এই কাহিনী'-টির ইতি ও লেখা ছিল । মা যা দিন এর পর দিন বকা দিয়ে ঠিক করতে পারেনি, বাবা-র এক unplanned presence -ই সেটা ঠিক করে দিল।
কোনো এক আকস্মিক রবিবার । বাবা tour থেকে ফিরে নিজের মনে t v দেখতে ব্যাস্ত , হতাৎ ল্যান্ডলাইন এ timely বেজে উঠলো ফোন, এবং আমার এলো জর। ভগবান এর নাম নিয়ে বললাম হ্যালো।
অমুক : তোকে একটা খুব জরুরী কথা বলার ছিল।
আমি : -( মনে মনে: weather সম্বন্ধে আশা করি ) ও , কি হয়েছে , বলে ফেল।
অমুক: না , সবাই বলছিল তোকে বলেই দিতে .....
আমি : ( মনে মনে: তা বলার আর এর থেকে ভালো সময় পেলে না ? হে ভগবান রক্ষা করো ) : হমমমম , বল
অমুক: না মানে সবাই বলছিল বলেই দিতে যে আমি তোকে পছন্দ করি ...
আমি : ( মনে মনে : YES ! YES ! YES !YES !YES !......এই রে hang on , বাবা আছে ...omg !)
ঠিক তখন ই -
বাবা : কার ফোন?
আমি : এই .....এমনি .....বন্ধুর . - insert casual shrug, bored face and indifferent tone here- ( মনে মনে : তোমার future জামাই-এর :D !!!!!! )
-back to the phone -
অমুক : তা .....?
আমি : ( মনে মনে : হে ভগবান , আমায় টেলিপ্যাথি'র শক্তি দাও , বা একে বোঝাও সামনে বাবা, রেড এলার্ট!!) আচ্ছা , mechanics -এর ওই অঙ্ক টা বুঝেছিলি ? স্যার বোর্ড এ করলো কালকে ?"
অমুক : মানে ...???
আমি : ও হা , দারা , বই দেখে বলছি ।
আরও ৫ মিনিট পর সেই ফোন কল শেষ হলো, বেচারা অঙ্ক বোঝালো , আমি কিছু শুনিনি তো বোঝা বহু দুরের কথা , মনে মনে ভাবছিলাম নতুন লাস্ট নাম ta কেরম মানায় ।ফোন শেষ হলে, বাবা-র সাথে বসে tv দেখতে দেখতে অপেক্ষা করলাম , বাবা কখন বাইরে যাবে, যাতে আমি কাউকে ফোন করে বলতে পারি মেকানিক্স এ আমার এক ফোটা ও interest nai।কোনো দিন এ ছিল না, সাবজেক্ট তা নিয়ে এ ছিলাম কারুর সাথে এক এ ক্লাস এ থাকবার জন্য।
প্রাইভেসী'র অপেক্ষা করতে গিয়ে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলো, বিকাল শেষ হয়ে সন্ধা হলো, বাবা গেল বন্ধু দের সাথে আড্ডা মারতে, মা ওপরতালা থেকে নিচে নেমে আসল ... ভাই কে পড়তে বসাতে হবে ... কপাল। তাও excitement এ সারাদিন এক ফোটা ও ভাটা আসেনি । সারা দিন দাত বার করে নিজের মনে হেসে গেছি ....সেটা কারুর সন্দেহজনক মনে হইনি, আমি ছিলাম এ একটু হাসিয়ে প্রকিতির ।
সন্ধের সময় ফোন আসল আরেক বন্ধুর । দু বছরের নতুন আলাপ, কিন্তু তাও খুব এ ঘনিষ্ঠ , সবচেয়ে মনের কথা গুলো আগে এসে আমায় বলত।
বন্ধু: আমার কাছে দারুণ খবর আছে !
আমি: হাহা , আমার কাছে ও আছে, কিন্তু তুই আগে বল।
বন্ধু: ঠিক হায় ! রেডি? অমুক propose করলো। I said yess !! দারুন লাগছে । আমার এত দিন মনে হত ও তোকে পছন্দ করত, তোরা সারাদিন এত বকবক করতিস।আমার তখন খুব jealous লাগতো । আমি চিন্তা এ করিনি, he likes me, হাহাহা ....এবার তোর টার্ন , বল কি দারুন খবর?? আজকে কি দারুন দিন না?
আমি : yea , weather-টা দারুন , congratulations !! ফুচকা খাবাতে হবে কিন্তূ !
বন্ধু : সে তো অবশ্যই , কিন্তু তর খবর তা বল এবার !
আমি : টিচার's day এর শাড়ি পেয়ে গেছি! দারুন দেখতে !
বন্ধু: Nice !!
হতাৎ মনে পরে গেল। ভাই এর এখন ঠিক পনেরো ছেড়ে ষোলো ছুই ছুই। মেয়েটার নাম দেবলীনা। মা'র আবার মাথা ধরেছে।
আমার কথা আলাদা, ২৮র আগে মরে গেলেও বিয়ে-মুখো হচ্ছিনা। সেটা মা'র second মাথাব্যথা ।
No comments:
Post a Comment